দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

লেখক মনদীপ ঘরাই এর উদ্যোগে পুরাতন বই দিলে মিলছে গাছ

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ-

পুরাতন বইয়ের বিনিময়ে মিলছে গাছ বরিশাল: জেলায় জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের আয়োজনে চলছে সাতদিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা। বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা বইমেলা এরইমধ্যে বইপ্রেমীদের পদচারণায় জমে উঠেছে। আর বইমেলাকে ঘিরে আয়োজনেরও শেষ নেই। যেমন- ‘পুরাতন বই দিন, সবুজ গাছে বদলে নিন’ এই স্লোগানে পাতা বিনিময়ের এক ব্যতিক্রমী আয়োজন টি বাস্তবায়নে কাজ করছে বিডি ক্লিন – বরিশাল টিমের টগবগ তরুণ তরুণীরা। তাদের প্যাভিলিয়নে পুরাতন বই দিলেই মিলছে পরিবেশ বন্ধু গাছ। যেখানে একটি পুরাতন বই দিয়ে মিলছে তিনটি গাছ।
জানা গেছে, বিভাগীয় বই মেলায় সরকারি দপ্তরের ১৯টি প্রতিষ্ঠানসহ দেশের স্বনামধন্য ৩৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তবে এরমধ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে বরিশাল বিডি ক্লিন টিম। তারা পুরাতন বই নিয়ে দিচ্ছ পরিবেশ বান্ধব বই। তাদের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা। বই মেলায় আগত দর্শনার্থী সাথী জানান, বই দিয়ে গাছ বিনিময়ের আয়োজনটা দারুণ লেগেছে। এছাড়া তাদের চারিদিকে ব্যানারে লেখা স্লোগানগুলো মনোমুগ্ধকর হয়েছে। তার মধ্যে, ‘দিলে বই মিলবে গাছ, সুস্থভাবে নেব শ্বাস, ফেললে ময়লা যত্রতত্র সবার হবে জীবন নাশ’, ‘পুরাতন বইয়ের পাতা হোক একটি গাছের পাতা’; এমন স্লোগানগুলো যিনি বুঝতে পারবেন, তিনি ভেতর থেকেই পরিবর্তন হয়ে যাবেন। বিডি ক্লিন বরিশালের অতিরিক্ত সমন্বয়ক জায়েদ ইরফান বলেন, এখান যেকোনো ধরনের বই দিয়ে সবাই গাছ নিতে পারবেন। তবে শিশুদের পড়ার উপযোগী বই হলে বেশি ভালো হয়। আর এখান থেকে পাওয়া প্রতিটি বই যাবে ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে।তিনি আরও বলেন, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাইয়ের উদ্যোগে এমন আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। তার উদ্যোগেই এমন একটি আয়োজন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে বিডি ক্লিন টিমের পক্ষে।এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই বলেন, আমাদের মূল মন্ত্র হচ্ছে পাতা-বিনিময়, কারণ বইয়েরও পাতা আছে, গাছেরও পাতা আছে। তাই পাতা বিনিময়ের এই আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া গাছ সবসময় আমাদের পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পুরাতন বই নিয়ে পরিবেশবান্ধব গাছ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখান থেকে পাওয়া প্রতিটি বই পৌঁছে দেওয়া হবে সব ছিন্নমূল শিশুদের হাতে। যাতে তাদের মধ্যেও শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া যায়। এছাড়া পুরাতন বই নিয়ে গাছ বিতরণের এই আয়োজন আগামীতেও চালু থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।এছাড়া বইমেলায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে প্রদর্শনী ও বই পড়ার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রথম হাতে লেখা সংবিধানসহ বিভিন্ন দুর্লভ বইয়ের দেখা মিলবে। বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতা এ মেলা চলে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক নেসার উদ্দিন আয়ুব জানান, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির আওতাধীন ৪৭টি প্রকাশনী সংস্থা বইমেলায় অংশ নিয়েছে। তারাও চান নিয়মিত প্রতিটি বিভাগে বইমেলার আয়োজন হোক।

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad