দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর গুরুতর অবস্থা

আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর গুরুতর অবস্থা

 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সাব্বির হাওলাদার নামে এক রোগী গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই অসুস্থ্য রোগীকে চিকিৎসার জন্য ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারী। পলাশ অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের নগরবাড়ী গ্রামের সাইদুল হালদারের ছেলে ছাব্বির হাওলাদার গত ৮ই মে বিকেলে পেটে ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে যায় আস্কর বাজারের পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারীর কাছে। পলাশ অধিকারী ১শত টাকা ভিজিট নিয়ে চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়টিকসহ বিভিন্ন ঔষধ লিখে দেন এবং তিনদিন পরে রোগী সাব্বির হাওলাদারকে আসতে বলেন। রোগীর পেটে ব্যাথা ভালো না হওয়ায় পরবর্তিতে পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারী রোগীকে পরীক্ষার জন্য টেস্ট দেন আর সেই টেস্ট দেখে নতুন করে ঔষধ লিখে দেন তিনি। আর সেই ঔষধ খেয়ে ছাব্বির হাওলাদারের চোখ, পেট, গলা ফোলাসহ শ্বাস বন্ধ হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরে। পলাশ অধিকারীকে জানালে এলার্জির সমস্যা বলে ঔষধ খেতে বলে সাব্বিরকে। ওই ঔষধ খাওয়ার পর রোগী সাব্বিরের শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। পরে রোগীকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা জানান ভুল চিকিৎসায় ছাব্বির হাওলাদারের এই অবস্থায় হয়েছে। এ কারনে গত ২১ মে রাতে রোগী ছাব্বির হাওলাদারকে ভুল চিকিৎসা করায় তার ক্ষতিপূরন চেয়ে পলাশের চেম্বারে যান। এঘটনায় পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারী রোগীর চিকিৎসার জন্য ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে রোগী ছাব্বিরের পিতা সাইদুল হাওলাদার বলেন, পলাশ অধিকারীর ভুল চিকিৎসায় আমার ছেলে গুরুতর অসুস্থ্য হয়েছে। পরে বরিশালে চিকিৎসা দেওয়া হলে আমার ছেলে সাব্বির বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য রয়েছে।
এঘটনায় পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারী বলেন, রোগী আসছে বলে আমি চিকিৎসাপত্র দিয়েছি। তবে পল্লী চিকিৎসক পলাশ অধিকারী কোন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে তা বলতে পারেনি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব বলেন, পলাশ অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।

 

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad