দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

গৌরনদীতে ব্যবসায়ী পাটনারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফিলিং ষ্টেশন দখল নেয়ার অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের গৌরনদীতে একটি ফিলিং স্টেশনের ব্যবসায়ী পার্টনার ও তার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর ঢাকা-বরিশাল বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের কটকস্থল নামক স্থানে মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনের একাংশের মালিক মো. হারুন বেপারী, তার কন্যা পপি বেগম ও তার স্বামী আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ এর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে উপজেলার কটকস্থল গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহামান ওরফে ইঙ্গুল মাঝি বলেন, ক্রয় সুত্রে আমি ও আমার ছেলে মানিক মাঝি আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের অর্ধেক ব্যবসায়ী পার্টনার। এছাড়াও আমার মেঝ পুত্র হীরা মাঝি দাতা হিসাবে ননডুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে মেসার্স আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের মালিক পক্ষকে প্রথমে ড়শ ২৫.০৯.২০২৩ সালে ৩০ লক্ষ এবং ২৬.০৬.২০২৪ সালে ১০ লক্ষ টাকা মোট ৪০ লক্ষ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। ওই চুক্তিতে গৃহীতার নাম রয়েছে মো. হারুন বেপারী তার কন্যা পপি এবং আমার পুত্র মানিক মাঝি ও হীরা মাঝি। বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহামান ওরফে ইঙ্গুল মাঝি আরো অভিযোগ করেন, গত ৫ মাস যাবত ব্যবসার সঠিক ভাবে হিসাব না দেয়ায় আমার দুই ছেলে ব্যবসার টাকার হিসাব চাইতে গেলে মিথ্যে চঁাদা বাজির অভিযোগ তুলে। ব্যবসায়ী হিসাব না দেয়ায় আইনগত সহাতায় জন্য গত ২৫ জানুয়ারি রাতে গৌরনদী মডেল থানায় আমার পুত্র মানিক মাঝি ও নাতী সিফাত মাঝি উপস্থিত ছিলে তাদের অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তাদের থানার সম্মুখ থেকে পুলিশ আটক করে। পরবতর্ীতে গভীর রাতে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখায়। পুলিশ পরের দিন ২৬ জানুয়ারি তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
আরিফ ফিলিং ষ্টেশনে’র পার্টনার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও তার স্ত্রী পপি বেগম মিথ্যা মামলা দিয়ে ফঁাসিয়ে ফিলিং ষ্টেশন দখল নেয় বলে দাবি করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহামান ওরফে ইঙ্গুল মাঝি।
খেঁাজ নিয়ে জানা যায় আরিফ ফিলিং ষ্টেশনটি ২০১৫ সালের দিকে উদ্ধোধন করা হয়। এ সময় দুইজন পার্টনার ব্যবসা শুরু করেন। পরে আরও টাকার প্রয়োজন হলে ২০১৯ সালে ব্যবসায় পার্টনার হিসেবে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সীকে যুক্ত করেন। পরে মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী তার পার্টনারের অংশ মজিবুর রহমান মাঝি ও তার ছেলে মানিক মাঝির কাছে বিক্রি করেন। এর মাঝে অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যবসায়ী পার্টনার নিয়ে দন্ধের জেরে দীর্ঘ দিন ফিলিং ষ্টেশনটি বন্ধ থাকে। পরবতর্ীতে ২০২৩ সালে উভয় পক্ষের সালিসদের মধ্যস্থতায় মো. হারুন বেপারী তার কন্যা পপি ও জামাতা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ অর্ধেক ও মজিবর রহমান মাঝি, তার পুত্র মানিক মাঝি ও হীরা মাঝি অর্ধেক মালিক হিসেবে হীরা মাঝির কাছ থেকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা ননডুশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তির উভয় পক্ষ মালিক গ্রহন করে ব্যবসা শুরু করে।
আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের একাংশের মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ‘মো. ফরহদা হোসেন মুন্সী পাম্বের উন্নয়ন মূরক কাজের জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করেন, সেটা আমার জানা আছে। অপর দিকে আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ এর স্ত্রী পপি দাবী করেন, মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী জোর করে আমাদের কাছ থেকে মালিকানা নিয়েছেন।
এ বিষয় মালিকানা চুক্তিাপত্রে স্বাক্ষী সাবেক বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্যাদা পপি’র অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘যখন মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সীর সাথে চুক্তিপত্র হয় তখন আমি স্বাক্ষী ছিলাম, সেদিন কাউকে জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কোন চুক্তিনামা হয় নাই’।

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad