দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

গৌরনদীতে ব্যবসায়ী পার্টনারকে অংশ  না দেয়ার পায়তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে ফিলিং ষ্টেশন দখল নেয়ার অভিযোগ।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কটকস্থল নামক স্থানে আরিফ ফিলিং স্টেশনের অংশীদারি ব্যবসায়ী পার্টনার ও তার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে । এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করছেন ঐ ফিলিং স্টেশনের অংশীদার ব্যবসায়ীদের। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে মো. মজিবুর রহমান মাঝি বলেন, আমি ও আমার ছেলে মানিক মাঝি আরিফ ফিলিং স্টেশনের অংশীদার এবং ব্যবসার পার্টনার । এছাড়াও আমার আর এক ছেলে আরিফ ফিলিং স্টেশনে ৪০ লাখা টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। আমি ৬২ লাখ টাকা এবং আমার ছেলে মানিক মাঝি ৮২ লাখ টাকা, মোট ১ কোটি ৮৪ লক্ষ  টাকা  বিনিয়োগ করি।  গত ৫ মাসে আয়ব্যয়ের  সঠিক   হিসাব না দেয়ায়  আমার  ছেলেরা পাম্পের আয়ব্যয়ের  হিসাব জানতে চাইলে , গৌরনদী থানায়  চাঁদা বাজি ও হামলার মিথ্যা  অভিযোগ করেন , আরিফ ফিলিং স্টেশনে’র দ্বিতীয় অংশীদারী পার্টনার  পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ এর স্ত্রী পপি। সেই অভিযোগে আমার বড় ছেলে মানিক মাঝি ও সিফাত মাঝি নাতী কে গৌরনদী থানার সমনে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। এমনই অভিযোগ করেন মো.মজিবুর রহমান মাঝি।

অনুসন্ধান করে পাওয়া যায়, আরিফ ফিলিং স্টেশনটি ২০১৫ সালের দিকে উদ্ভোধন হয়। এসময় দুইজন পার্টনার ব্যবসা শুরু করেন। পরে আরও টাকার দরকার হলে ২০১৯ সালে তৃতীয় পক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সীকে অংশীদারী পার্টনার হিসেবে যুক্ত করা হয় ।

জরুরি টাকার প্রয়োজনে, ফরহাদ হোসেন মুন্সী তার পার্টনারের অংশ মজিবুর রহমান মাঝি ও তার ছেলে মানিক মাঝির কাছে বিক্রি করেন তিনি।

মজিবুর রহমান মাঝি ও মানিক মাঝিকে তারা পার্টনার সিফ দিতে অস্বীকৃতি জানান, প্রতিপক্ষ  আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ ।

এছাড়াও হিরা মাঝির কাছ থেকে ব্যবসায়ী পার্টনারের অংশীদার দেয়ার কথা বলে স্ট্যম্প চুক্তিনামা মারফত ৪০ লাখ টাকা নেন ১ম পক্ষ হারুন মাঝি ও ২য় পক্ষ আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগের স্ত্রী পপি।  স্ট্যাম্পে উল্লেখ্য দাতা মো. হীরা মাঝি ও গৃহীতা  ৪জন,  ১। মো. হারুন বেপারী, ২।পপি, ৩।মানিক মাঝি ও ৪।মো.হীরা মাঝি। চুক্তি নামার  স্বাক্ষী ছিলেন ১। মো. আব্দুল গনি, ২।মুনজিলা, ৩।সজীব মাঝি ও ৪।  আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ।

আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের মালিকানার বিষয় দ্বিতীয় পার্টনার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী পাম্বের ডেকোরেশন ও রাস্তাসহ বিভিন্ন কাজে ৩০ লাখ টাকা খরচ করেন সেটা আমারা স্বীকার করি।  তবে আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ এর স্ত্রী দাবি করে বলেন মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী জোরপূর্বক  মালিকানা নিয়েছেন।

কাগজপত্র ঘেটে জানা গেছে,  চুক্তিাপত্রের স্বাক্ষী  বার্থী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্যাদা, তিনি বলেন যখন চুক্তিনামা করা হয়েছে  তখন আমি স্বাক্ষী ছিলাম সেদিন কাউকে জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কোন চুক্তিনামা হয় নাই

সকলে ভালোভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে পড়ে বুজে স্বাক্ষর করেছিলো ।

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad