
বি এম মনির হোসেনঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত দুই বছরে খ্রিষ্ঠান থর্মাবলম্বীদের প্রার্থণার জন্য গীর্জার সংখ্যা ২২টি বেড় দাড়িয়েছে ৭৭টিতে। ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনকে ঘিরে উৎসব আমেজের দিন কাটছে খ্রিষ্টান পল্লীর বাসিন্দাদের। ক্রিসমাস ট্রি, রং-বেরংয়ের কারুকার্যর আল্পনা, রঙ্গিন কাগজের বাহারী ফুলের আঙ্গিনা সাজানো, আর রঙ্গিন বাতিতে সাজানো হচ্ছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের আবাসগৃহ, গো-শালা থেকে শুরু করে প্রার্থণার কেন্দ্রবিন্দু গীর্জাগুলোও। বড় দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই রাজধানীসহ দেশেরে বিভিন্ন স্থান থেকে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
“শুভ বড়দিন” পালনের জন্য এখন পর্যন্ত ৬২টি গীর্জার অনুকুলে ৫শ কেজি করে মোট ৩১ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকারের ত্রাণ ও পুণর্বাসন মন্ত্রণালয়।
বরাদ্দকৃত অনুদান প্রতিটি গীর্জার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনুকুলে ৫শ কেজি করে চালের ডিও লেটার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. মোশারফ হোসেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন আরও জানান- সরকারের প্রাথমিক চাহিদানুযায়ি গত বছরের ৬২টি গীর্জার তালিকায় বরাদ্দ হলেও এ পর্যন্ত ৭৭টি গীর্জার জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা পরেছে। বাকী ১৫টি আবেদন সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে সংশ্লিষ্ঠ চেয়ারম্যানদের প্রত্যয়নপত্র পেলে তাদের বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
দপ্তরের হিসেব মতে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২০২১ সালে ৫৫টি গীর্জায় প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত য়েছিল। ২০২২ সালে ১৩টি বেড়ে গীর্জার সংখ্যা দাড়ায় ৬৮টি। ২০২৩ সালে ওই গীর্জার সংখ্যা ৯টি বেড়ে বর্তমানে দাড়িয়েছে ৭৫টিতে।খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারি মতে- ঈশ্বরের আত্মীক প্রেমের বন্ধনে, মানব কল্যাণের বারতা বয়ে বেড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে যীশু খ্রিষ্ট ঈশ্বরের পুত্র রুপে মেষ পালক হিসেবে পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।পবিত্র বাইবেল অনুসারে কুমারী মাতা মরিয়মের গর্ভে জন্ম নেয়া যীশু খ্রিষ্ট মানব কল্যাণে, ধর্ম পথে মানুষকে পরিচালিত করে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের প্রেরণা যোগাতে আপন অলৌকিক মহিমায় ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন আমৃত্যু পর্যন্ত।যীশু খ্রিষ্টের পৃথিবীতে পুণঃআগমনী বার্তায় বড় দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার ৭৭টি গীর্জায় প্রায় ছয় শতাধিক খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী পরিবারের সদস্যরা গীর্জাগুলোতে সমবেত হয়ে বিশেষ প্রার্থণা করবেন। এদিন গীর্জায়-গীর্জায় অনুষ্ঠিত হবে প্রার্থণাসভা ও ভক্তিমুলক গান। একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় শেষে কেক, মিস্টি, বিশেষ খাবার (সোমরস) দিয়ে অতিথীদের আপ্যায়ন চলবে রাত ব্যাপি। পরদিন সকালেও অনুষ্ঠিত হবে প্রার্থণা। (পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলম চাঁদ জানান “শুভ বড় দিন” উপলক্ষে গীর্জাগুলোতে নেয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা।
More Stories
আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর গুরুতর অবস্থা
রাজাপুরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিচয় শনাক্তে সিআইডির অনুসন্ধান
গৌরনদীতে আগুনে পুড়ে ছাই স্বপ্নের ঘর