দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহযোগিতায় চিকিৎসা পেলেন শিবচরের ৫ শতাধিক মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাঁচ শতাধিক চক্ষুরোগীকে নিখরচায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সলেনামা বাজিতপুর গ্রামের সানকিরচর এলাকায় চর শেখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডা. কেয়ামুদ্দিন মাস্টার ও জাহানারা বেগম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

এতে সার্বিক সহায়তায় ছিল ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এখানে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ক্যাম্প অর্গানাইজার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মোহাম্মদ আবু তোয়েবের তত্ত্বাবধানে ডা. কাজী আদনান, ডা. নুসরাত লুবনা, ডা. তাসরুবা শাহনাজসহ আটজনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেন।

বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব জানান, সকাল ৯টা থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়। ব্যাপক সাড়া পড়েছে প্রত্যন্ত এ এলাকায়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যাদের চোখে ছানি বা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে, তাদের বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য ঢাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে।

চরশেখপুর গ্রাম প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতের নাগালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ঘরের পাশে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশনের খবরে তারা আনন্দিত।

চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী বলেন, বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তাররা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়েছেন। আমরা খুবই খুশি ঘরের কাছে বিনামূল্যে এতো ভালো সেবা পেয়ে।

ডা. কেয়ামুদ্দিন মাস্টার ও জাহানারা বেগম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সার্বিক সহযোগিতায় নিজ এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার আয়োজন করতে পেরে আমি আনন্দিত। অসংখ্য রোগী এসেছেন চিকিৎসা নিতে। বসুন্ধরা গ্রুপের হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুবই যত্ন সহকারে রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। রোগীরাও খুশি। আমরা চেষ্টা করব ভবিষ্যতে আবার এ ধরনের আয়োজন করতে।

এদিন ৯০ জন রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। চশমা দেওয়া হয়েছে ১৫০ জনকে।

 

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad