
নিজস্ব প্রতিবেদক :
হবিগঞ্জের মাধবপুরের দুর্গাপুরে অবৈধভাবে ড্রেজারে মাটি বালু উত্তোলনের হিড়িক ফসিল জমির মালিকরা সহ হতাশায় গ্রামবাসী।
উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একাধিক জায়গায় থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক লেগে গেছে।
ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি। কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় আশপাশের কৃষি জমিগুলো ভেঙ্গে পড়ছে।
সরেজমিনে দুর্গাপুর গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখা যায় চোখে পরার মতো এদিকে ওদিকে ড্রেজার মেশিনের পাইপ আর ড্রেজার মেশিন। একদিকে সমতল তিন ফসিল জমি থেকে ভ্যাকু মেশিন দ্বারা মাটি উত্তোলন আর ভারসাম্য পরিবেশ ক্ষতি করে পুকুরে ড্রেজার মেশিন।
জানা যায়, পুকুর খননের নামে বালু উত্তোলনের পায়তারা পুকুর মালিক পক্ষ সহ গ্রামবাসী এই অবস্থা বাড়িঘর ও ভারসাম্য পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গ্রাম বাসীর পক্ষে বিন্দা রানী সরকার বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হবিগঞ্জ বরাবর দরখাস্ত করেন এবং ১০৫৪/২৪ মাধবপুর ধারা ফৌ: কা: বি: আইনের ১৪৪ ধারায় আন্দিউড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুরের চন্দ্র কুমারের ছেলে প্রদীপ সরকার (৪০) এবং জগদীশ পুর ইউনিয়নের জগদীশ পুরের মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।আদালত নির্দেশনা কর্তৃক মামলায় মাধবপুর থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মো: জাকির হোসেন উক্ত জায়গায় শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ জারি করা হয়।
এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে অনেক কৃষক। এছাড়াও দিন দিন ভূখন্ডের ভারসাম্য হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গ্রামবাসী।
ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: সোহেল রানা বলেন, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করলে যদি খবর পাই তাহলে প্রাথমিক ভাবে আমি বন্ধ করতে নিষেধ করি তারপর না মানলে এসিল্যান্ড মহোদয়কে নিয়ে ভ্রাম্যমান করানো হবে।
এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এডিএম কোর্টের মামলার প্রেক্ষিতে আমরা ওখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ দিয়েছি, এরপরে কোনো সমস্যা হয় মামলার বাদী যদি জানায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), মো: মুজিবুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে ওই মামলার কোনো কাজ আসে তাহলপ বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিব।
More Stories
আগৈলঝাড়ায় ৫০ হাজার শতাংশ জমিতে মৎস্য ঘের! সরকারি রাস্তা গিলে খেলো ঘের প্রকল্প: চাষের জমি পেরিয়ে সংঘাতে দুই পক্ষ
আগৈলঝাড়ায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে হিজড়াদের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ
বাজিতপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, দলীয় প্রধানদের ছবি ভাঙচুরে চরম উত্তেজনা