দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

কালকিনিতে শিশু ছাত্রীদের নিপিড়নের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

 

কালকিনি উপজেলার প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরের কালকিনিতে পঞ্চম শ্রেণির দু’জন শিশু ছাত্রীকে নিপিড়নের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলের নিন্দার উঠেছে। আর সঠিক ঘটনা জানতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১৯৫ নং চরজায়গির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
এই ঘটনা ঘটে। গত এক সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন সময়ে এই ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জার ভয়ে এতোদিন ঘটনাটি চাঁপা রাখলেও গত শনিবার (৮ফেব্রুয়ারী) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি তুলে ধারেন ভুক্তভোগীরা।

নিপিড়নের শিকার ওই ছাত্রীরা ও পরিবারের সদস্যরা জানান, স্কুল চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের দোতলায় মাকড়শার ঝুল পরিস্কার সহ বিভিন্ন অজুহাতে ঐ ছাত্রীদের একাকী ডেকে নিয়ে জামাকাপড় খুলতে বলতো ঐ শিক্ষক, এসময় তিনি ছাত্রীদের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করতেন। এছাড়াও ঐ শিক্ষকের মোবাইলে থাকা বিভিন নোংড়া ছবি ও ভিডিও ছাত্রীদের দেখতে বাধ্য করা সহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নিপিড়ীনের করতো ঐ শিক্ষক। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো ঐ শিক্ষক বলে অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

এক ভিকটিমের পিতা জানান, শিক্ষক পিতার সমান, তার কাছ থেকে কি শিক্ষা পেল আমার মেয়ে? ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এরকম অভিযোগ শুনেছি কিন্তু বিশ্বাস করিনি। কিন্তু আমার মেয়ের সাথে যা করেছে তা কল্পনা করতে গা শিঁউড়ে ওঠে। আমার মানসম্মান আর থাকলো না। আমি ঐ শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম মাতুব্বর জানান, শিক্ষক হবে আদর্শের প্রতীক। কিন্তু ঐ শিক্ষক যা করেছে কা খুবই নিন্দনীয়। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার করলে আর কোন শিক্ষক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করতে সাহস পাবে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামাল জানান, বিষয়টি আমি শুনে ঐ শিক্ষককে ডেকে জিজ্ঞেস করেছি, সে ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলেছে। তাছাড়া ভুক্তভোগীরা কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্ষকাতর এবং নিন্দনীয়। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহবায়ক, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পরিপেক্ষিতে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad