দৈনিক আজকের পেপার

দৈনিক আজকের পেপার

আ’লীগ সরকারের আমলে শ্যামপুর দলিল লেখক সমিতি’র বিতর্কিতরা ফের নেতৃত্বে, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়!

রাজধানীর শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতিকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ধরণের অন্যায়-অনিয়মের বিতর্কের জন্ম দিয়ে ভয়ংকর কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারীরা-ই আবার দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর নতুনরূপে বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরদর্পে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ যেনো তাদের অব্যাহত অপকর্ম চালিয়ে যেতে নতুন বোতলে পুরানো মদ এর কৌশল অবলম্বন করেছেন। এদের মধ্যে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন দলিল লেখক সমিতির নেতা বনে গিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
হয়রানির শিকার, সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, সাবেক এমপি এ্যাড. সানজিদা খানমের নাম ভাঙ্গিয়ে শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো: মফিজ উদ্দিন মুন্সি এবং সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক হোসেন সাধারন দলিল লেখকদের হয়রানি, সেবা প্রত্যাশীদের জিম্মি করে জমির দলিলে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায়, সাবরেজিস্ট্রার অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ভূমি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করতো। এরা আ’লীগের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছিল। বিশেষ করে মফিজ উদ্দিন মুন্সির ভাই, ভগ্নিপতি, চাচাতো ভাই সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক সংঘবদ্ধ দালাল চক্র গড়ে তুলে। এরফলে সেবা নিতে আসা নারী-পুরুষ বিভিন্ন কায়দায় চক্রের সদস্য কর্তৃক হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হতো। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে যান। এরপর শ্যামপুর দলিল লেখক সমিতির বিতর্কিতরাও গা ঢাকা দেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন বেপরোয়াভাবে অন্যায়-অপকর্ম করায় সাধারন দলিল লেখকরা তাদের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ ছিল। এককথায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জিম্মিদশায় ছিলেন সাধারন দলিল লেখকরা। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী আচরণে তখন কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেন সাধারন দলিল লেখকরা।

 

একপর্যায়ে শান্তিপ্রিয় সাধারন দলিল লেখকদের চাপেরমুখে গত ২৭ আগস্ট সমিতির বিতর্কিত সভাপতি মো: মফিজ উদ্দিন মুন্সি এবং সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক হোসেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পদত্যাগের কয়েক দিন পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠে নানা অপকর্মের হোতা পদত্যাগকারী মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।

 

১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে আওয়ামী লীগ নয়, এবার বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আগের মত মূর্তিমান আতঙ্করূপ ধারণ করে সাধারন দলিল লেখকদের জিম্মিদশায় রেখে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন শ্যামপুর দলিল লেখক সমিতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসেবে নিজেদের জাহির করে বেড়াচ্ছেন। এবং সাধারন দলিল লেখকদের মারধর, হত্যার হুমকি, অনেকের বসার সিট বাতিল, নির্ধারিত বসার স্থানের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর চালিয়ে নতুনরূপে এই অপকর্মকারীরা আরেক বিতর্কের জন্ম দেন। এরফলে শান্তিপ্রিয় সাধারন দলিল লেখকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি সাধারন দলিল লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বসবাস করছেন।


একাধিক সূত্রের ভাষ্য, দলিল লেখক মফিজ উদ্দিন মুন্সি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অগাধ বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন। তার পিতার নাম মোসলেম উদ্দিন মুন্সি। রাজধানীর কদমতলী থানার মেরাজনগরের বি ব্লকের বসবাস করছেন মফিজ উদ্দিন মুন্সি। রাজধানীর রায়েরবাগে তিনটি বহুতল ভবন রয়েছে। এরমধ্যে ১০ তলা দুটি ভবনের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। এরবাইরে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় নামে বেনামে তার সম্পদ রয়েছে। এম শান্তি নিবাস ডেভেলপার্রস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজ উদ্দিন মুন্সি। একসময়ে যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেই মফিজ দলিল লেখক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আলাদিনের চেরাগের মতো মফিজের এতো অর্থ-বিত্তের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারন মানুষ। অপর আরেকটি সূত্র বলছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী ভূমিকায় থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থের যোগানও দিতেন এই মফিজ।
অপরদিকে, দলিল লেখক ফারুক হোসেনও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক বনে যান। তার পিতার নাম সাইফুল ইসলাম। কদমতলী থানার মুরাদনগর মেডিকেলের পানির পাম্প লাগোয়া এলাকায় গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। সেখানেই বসবাস করছেন ফারুক হোসেন। রূপগঞ্জে তার বাগান বাড়ি রয়েছে। এছাড়া নামে বেনামে ফারুক হোসেনের সম্পদ রয়েছে।
হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী দলিল লেখক সাইদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সভাপতি-সম্পাদকের পদ দখল করে একের পর এক অন্যায়-অনিয়ম করেছেন। এরা দলিল লেখকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পারপাস দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিজেরাই গলাধকরণ করেছেন। দীর্ঘ সময়ে তারা অবৈধপন্থায় নেতৃত্ব ধরে রাখলেও কখনই সমিতির আয় ব্যয়ের হিসেব নিকাশ দেননি। দেশের পটপরিবর্তনের পর সাধারন দলিল লেখকরা এদের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হলে একপর্যায়ে গত ২৭ আগস্ট তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠনও করা হয়। এই কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা। কিন্তু এর কয়েকদিনের মাথায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমিতিতে বিতর্কিত মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন নতুনরূপে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সভাপতি ও সম্পাদকের পদে বসেছেন। পাশাপাশি সাধারন দলিল লেখকদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মারধর করারও ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দলিল লেখক জিয়াউল হক, জসিম, আমির হোসেনসহ কয়েকজনকে মারধর করে থানা পুলিশে দেয়। পরবর্তীতে দলিল লেখকরা থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে আনেন। তিনি এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন রেখে বলেন, যেখানে ওরা পদত্যাগ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন দিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো, এরকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগকারীরা কিভাবে আগেরমত নেতৃত্বে আসীন হন। দলিল লেখক সাইদুর রহমান বিতর্কিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বের অবসান চেয়ে বলেন, ওইসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে নতুন করে নির্বাচন দেওয়া হোক। পাশাপাশি যারা সাধারন দলিল লেখকদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন, হয়রানি করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন দলিল লেখক সাইদুর রহমান।
নির্যাতন ও হয়রানির শিকার দলিল লেখক জিয়াউল হক বলেন, মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনের পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে শ্যামপুর সাব-রেজিস্টি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নেতা হয়ে সাধারন দলিল লেখকদের নানাভাবে নাজেহাল ও চাঁদাবাজি করেছেন। সদস্য পদ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে করোনাকালীন সময়ের আগে মফিজ মুন্সি ও ফারুক হোসেন ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তারা আমাকে সদস্য
করেননি। টাকা নিয়ে সদস্য না দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা উল্টো আমাকে হুমকি দিত। এরকম অসংখ্য দলিল লেখকদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিলেও কারোই সদস্য করেননি। সমিতির নামে উত্তোলনের লাখ লাখ টাকা মফিজ ও ফারুক ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি সানজিদা খানমের নাম ব্যবহার করে সভাপতি-সম্পাদক সাধারন দলিল লেখকদের ওপর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। দেশের পটপরিবর্তনের পর
সাধারন দলিল লেখকদের চাপেরমুখে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্যও হন। পদত্যাগের কয়েকদিন পর বহিরাগত গুণ্ডা-মাস্তান ভাড়া করে এনে সাধারন দলিল লেখকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দলিল লেখকদের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর এবং বসার সিট পরিবর্তন করেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন অত্যাচারী। এইসব অত্যাচারীদের হাত থেকে আমরা সাধারন দলিল লেখক মুক্তি চাই। একইসঙ্গে বর্তমান অন্তবর্ত সরকারের কাছে তাদের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়রানির শিকার আরেক দলিল লেখক বলেন, মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমিতির নাম ব্যবহার করে ব্যাপক অন্যায়-অনিয়মের মাধ্যমে কােটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর সাধারন দলিল লেখকরা আশার আলো দেখতে শুরু করে। এরইধারাবাহিকতায় সাধারন দলিল লেখকদের চাপেরমুখে
মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন পদত্যাগ করেন। এরপর স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় পদত্যাগকারীরা নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই ফের স্বপদে থাকার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মফিজ-ফারুক সিন্ডিকেট চক্রের কাছে সাধারন দলিল লেখকরা জিম্মি। এদের অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। এজন্য এদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা দখলদারিত্ব ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, তাদেরকে-ই আবার স্থানীয় বিএনপির কয়েক নেতা অর্থের বিনিময়ে আগের স্থানে বসিয়েছে। এর সঙ্গে যেসকল স্থানীয় বিএনপির লোক জড়িত মূলত: তারা বিএনপি রাজনীতির ইমেজ ক্ষুন্ন করেছে। তিনি আরো বলেন, এই দখলদারদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি হওয়া দরকার।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে দলিল লেখক সমিতির নেতা মফিজ উদ্দিন মুন্সি বলেন, ২৭ আগস্ট আমি দলিল লেখক সমিতির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করি নাই। এটা মিথ্যা। পদত্যাগ পত্রে আপনার স্বাক্ষর আছে এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটি দুষ্টচক্র এটা বানিয়েছে। সদস্য দেওয়ার কথা বলে সাধারন দলিল লেখকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এটাও মিথ্যা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি সানজিদা খানমের নাম ব্যবহার করে কয়েকটি বহুতল ভবনসহ ব্যাপক অর্থ বিত্তের মালিক হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকায় আমার নিজের কোন বাড়ি-ই নেই। আপনি একসময়ে আসেন সামনাসামনি কথা বলব, এসব কথা মোবাইলে বলা যাবে না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
পদত্যাগের কয়েকদিন পর আগের কমিটি বহাল রাখার ঘোষণা প্রসঙ্গে দলিল লেখক সমিতির নেতা ফারুক হোসেন বলেন, ২৭ আগস্ট আমাদেরকে জোরপূর্বকভাবে একটি গোষ্ঠি পদত্যাগ করিয়েছে। এর কয়েক দিন পর দলিল লেখকরা আবার নতুন করে আমাদের নেতৃত্বে বসিয়েছেন। সদস্য করিয়ে দেওয়ার নামে সাধারন দলিল লেখকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, শ্যামপুর সাব রেজিস্টি অফিসে আমাদের ১৯ সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির বাইরে আর কোন দলিল লেখক নেই।
কারো কাছ থেকে সদস্য দেওয়ার কথা বলে কোন টাকা নেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অন্যায়-অনিয়মের মাধ্যমে অগাধ বিত্ত বৈভের মালিক হওয়া প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন বলেন, আমার অবৈধ কোন সম্পত্তি নেই। ঢাকায় আমার নিজের নামে কোন বাড়ি নেই। কদমতলীতে গড়ে তোলা বহুতল ভবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কদমতলীতে বহুতল ভবন লেখক ভিলা আমরা কয়েকজন মিলে শেয়ারে করেছিলাম। বর্তমানে সেখানে আমার কোন শেয়ার নেই। এবং আমি বর্তমানে সেখানে থাকিও না। রূপগঞ্জে বাগান বাড়ি প্রসঙ্গে বলেন, ওটা আমার পৈতৃক সম্পত্তি। সেখানে আমি নিজে কিছুই করি নাই।


এদিকে, শ্যামপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাধারন দলিল লেখকদের প্রাণের দাবি-আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুল বিতর্কিত মফিজ উদ্দিন মুন্সি, ফারুক হোসেনসহ তাদের অপকর্মের সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করে এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষ করে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনের অবৈধপন্থায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

dailyajkerpaper Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad