অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদর রোড থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা নির্বাহী কর্মকর্তার ফারিহা তানজিনের বিরুদ্ধে” এক দফা এক দাবি ইউএনও তুই কবে যাবি, আগৈলঝাড়ার মাটিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাই নাই”সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বরিশাল জেলা (উত্তর) যুবদলের সদস্য সালমান হাসান রিপন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহিন, স্থানীয় নান্নু মোল্লা, ইকবাল সিকদার, পরি বখতিয়ার, মঞ্জুয়ারা বেগম, লুনা বেগম প্রমুখ।
বিক্ষুব্ধর ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মো. আমির আলী ও বিলকিস আক্তারের বরাত দিয়ে বলেন, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণে জন্য সরকারের দেয়া খেজুর, দুম্বার মাংস ও শাড়ি লুঙ্গি
নামমাত্র বিতরণ করে বাকি সব ইউএনও স্যার সরকারি গাড়িতে করে তার বরিশালের রাড়িতে নিয়ে যায়। অফিস সহায়কদের স্বাক্ষর জাল করে মোবাইল কোর্টের বিলের টাকা আত্মসাত করেছে ওই
অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী সিদ্দিকুর রহমান।
এ ঘটনায় ইউএনও ফারিহা তানজিনের কাছে বিচার দেওয়ার পরেও সে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে অফিস সহায়ক মো.আমির আলী ও বিলকিস আক্তার যৌথ স্বাক্ষরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে ২৫ মার্চ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগীরা ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কারণে অফিস সহায়ক মো.আমির আলী ও বিলকিস আক্তারকে ইউএনও ফারিহা তানজিন তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গালমন্দ করেন। এসময় তিনি ক্ষুব্দ হয়ে অফিস সহায়ক আমির আলীকে লক্ষ্য করে ষ্ট্যাপ্লার ছুড়ে মারেন। এছাড়াও তার অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মতিউর রহমান মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে আগৈলঝাড়া উপজেলায় বদলী হয়ে আসলেও তাকে তার চেয়ারে বসতে দেয়নি ফারিহা তানজিন। তার চেয়ারে বসে কাজ করছে ওই অফিসের মালি তরিকুল ইসলাম হলুদ।
উল্লেখিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, আমার অফিসের তিন কর্মচারী সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না ও ঠিক মত দায়িত্ব পালন করেন না এবং অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে ২/১’শ করে টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারনে ওই তিন কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মতিউর রহমান মোল্লা অসুস্থ ও কাজ না পারায় তার পরিবর্তে তরিকুল ইসলাম হলুদকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ড্রেজার দিয়ে ডোবা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণ করার দায়ে এক বালু ব্যবসায়ীকে গত ৩ মাস পূর্বে মোবাইল কোর্টে ৫০ হাাজর টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ওই বালু ব্যবসায়ীর ইন্দনে ব্যবসায়ীর আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা মিলে অর্ধশত মাণুষ আমার অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করেছে বলে আমি শুনেছি। তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় আমি গত এক বছর ধরে চাকুরি করে আসছি । এ সময় আমি তিনটি মোবাইল কোর্ট করেছি । ওই মোবাইল কোর্টে অফিস সহায়ক আমির আলী গেলেও বিসকিল যায়নি। আমির আলীর স্বাক্ষরের পর ভ্যাট ও ট্যাক্স বাদে তাকে এক হাজার টাকা দেওযা হয়েছে বলে ইউএনও ফারিহা তানজিন জানান ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ রাজীব ইসলাম তারীম ।। মোবাইল : +88 01818052282
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৪ |