গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুব-ছাত্রদলের দু’গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পাল্টাহামলা ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। এ সময় ২টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে উপজেলার মাহিলাড়া হাটে ও লালপুল নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গুরুতর আহত ছাত্রদল  কর্মী সবুজ সরদার, রাসেল হাওলারকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিকালে মাহিলাড়া হাটে যুব ও ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকালে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কে বালু বোঝাই ট্রাক ঢোকানোর সময় লালপুল নামকস্থানে ছাত্রদল কর্মী হৃদয় সরদারের মোটর সাইকেলে ঘষা লাগে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হুদয় সরদারের নেতৃত্বে হামলা চায়িয়ে যুবদল কর্মী রাসেল হাওলাদার, ছাত্রদল কর্মী রাসেল খন্দকার, সুজন মুন্সীেেক মারধর করে। এর কিছুক্ষন পর ছাত্রদল কর্মী মোয়াজ্জেম, কবির, সজল সরকারের নেতৃত্বে পাল্টাহামলা চালিয়ে ছাত্রদল কর্মী হৃদয় সরদার, আরমান গোমস্তা, যুবদল কর্মী বেল্লাল হোসেনকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে হৃদয় সরদারের সমর্থকরা দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে যুবদল কর্মী সবুজ সরদারসহ যুব ও ছাত্রদলের ৪ কমী-সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। দ্বিতীয় দফায় সজল সরকার, মনির, কবিরের নেতৃত্বে মাহিলাড়া হাটে হামলা চালিয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলেরর সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাইম সন্যামতের বাবা মুজাহার সন্যামতের ও ছাত্রদল কর্মী হুদয় সরদারের বাবা লালন সরদারের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর একদল সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার বিকালে মাহিলাড়া হাটে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।