নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের গৌরনদীতে টাকা ধার না দেয়ায় হামলা চালিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দেবর আল-আমিন কবিরাজের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কমলাপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন কবিরাজের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রী মাসুদা বেগম, শালিকা তামান্না আক্তার, ভাগ্নি রিতা আক্তারকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে স্থানীয় তিন সাংবাদিক গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোল্লা ফারুক হাসান, বেসকারি টিভি চ্যানেল এস এর গৌরনদী প্রতিনিধি মো. মাসুদ সরদার, দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার গৌরনদী প্রতিনিধি রাজিব ইসলাম তারিম ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিন্টু সংবাদ প্রকাশ না করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, দেশে এতগণতন্ত্রেথর দরকার নাই। আমার এলাকার বিচার আমি করবো। যে খানে আমাকে দেখে পুলিশ চলে গেছে সেখানে আবার সাংবাদিক কিসের। কোন রিপোর্ট করার দরকার নাই।
আহত প্রবাসীর স্ত্রী মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ পূর্বে আমার দেবর মিজানুর রহমান মিন্টুর সহযোগী আলামিন আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চায়। তবে পূর্বে আলামিন আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় পুনরায় তাকে টাকা ধার দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে আমার সাথে আলামিনের বাগ-বিতণ্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে আলামিনের নেতৃত্বে ৩/৪ জন হামলা চালিয়ে আমাকে (মাসুদা) আমার বোন (তামান্না), আমার ভাগ্নি (রিতা) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আল-আমিন কবিরাজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি কাউকে মারধর করিনি। ভাবী আমার বিরুাদ্ধে অপ-প্রচার চালচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই নাইমুর রহমান বলেন, চলতি পথে আমি জটলা দেখে গাড়ি থামাই। এছাড়া নতুন করে কেউ যেন মারামারি তে না জড়ায় তাদের নিষেধ করি। পরে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে আইনি পরার্মশ দেই। তবে প্রসাশন কারও কথায় চলে না আইন চলে আইনের গতিতে।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, থানা পুলিশ যে ওই ঘটনাস্থলে গিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে হামলার বিষয় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ রাজীব ইসলাম তারীম ।। মোবাইল : +88 01818052282
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৪ |